Cleavage (ক্লিভেজ)
যখন ডিম্বাণু (egg) নিষিক্ত (fertilized) হয়, তখন এটি অত্যন্ত সক্রিয় (vigorous) হয়ে ওঠে এবং এতে শ্বসন (respiration) এবং সংশ্লেষণ ক্রিয়াকলাপে (synthetic activity) একটি তীব্র বৃদ্ধি ঘটে। এই অবস্থাই ক্লিভেজ (cleavage) শুরু করে।
ক্লিভেজ হলো এক ধরনের ধারাবাহিক মাইটোটিক বিভাজন (mitotic division), যেখানে নিষিক্ত ডিম্বাণুর সাইটোপ্লাজম (cytoplasm) ধীরে ধীরে ছোট ছোট নিউক্লিয়াসযুক্ত কোশে ভাগ হয়ে যায়। প্রতিটি কোশকে বলা হয় ব্লাস্টোমিয়ার (blastomere)।
এই বিভাজন প্রক্রিয়ার ফলে একগুচ্ছ কোশ একত্রে জমে একটি গুটির মতো গঠন তৈরি করে, যেটি দেখতে জাম ফলের মতো হয় — একে বলে মরুলা (morula)।
এরপর কোশ বিভাজন সামান্য অসামঞ্জস্যপূর্ণ (asynchronous) হয়ে যায়। কোশসমূহের মধ্যে একটি ফাঁকা গহ্বর (cavity) গঠিত হয় যাকে বলা হয় ব্লাস্টোকিল (blastocoel) এবং বাইরের স্তরটিকে বলা হয় ব্লাস্টোডার্ম (blastoderm)। এই পর্যায়টিই শেষ পর্যন্ত ব্লাস্টুলা (blastula) রূপে গঠিত হয়।
✅ Cleavage এর বৈশিষ্ট্যগুলোর বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
1. একক কোশ বিশিষ্ট নিষিক্ত ডিম্বাণু (zygote) একাধিক কোশে বিভক্ত হয়ে বহুকোশী (multicellular) গঠনে পরিণত হয়।
🔸 এই কোশ বিভাজন হয় মাইটোসিস (mitosis) এর মাধ্যমে। প্রতিটি নতুন কোশকে বলা হয় blastomere (ব্লাস্টোমিয়ার)।
🔸 মূলত, একটি কোষ থেকে 2 → 4 → 8 → 16 → 32 এভাবে দ্রুত কোশ বিভাজন হয়।
2. প্রথম দিকে সব কোষ একই সময়ে বিভাজিত হয়, যাকে বলে synchronization (সিঙ্ক্রোনাইজেশন)।
🔸 এই ধাপে সমস্ত কোশ সময়মতো এবং সমানভাবে বিভাজিত হয়।
🔸 উদাহরণ: প্রথম 3–4 cleavage division সাধারণত synchronous (সমকালীন) হয়।
🔸 পরে এই সমন্বয় ভেঙে যায় এবং বিভাজন হয় asynchronous (অসময়িক)।
3. এই বিভাজনের সময় ভ্রূণের কোনো বৃদ্ধি (growth) ঘটে না, অর্থাৎ ভ্রূণের আকার অপরিবর্তিত থাকে।
🔸 Cleavage-এ কোশ সংখ্যা বাড়ে, কিন্তু প্রত্যেকটি কোশের আকার ছোট হয়ে যায়।
🔸 কারণ, G1 ও G2 পর্যায় (growth phases) অনুপস্থিত থাকে বা খুব ছোট হয়।
4. ভ্রূণের গঠনগত আকৃতি অপরিবর্তিত থাকে, শুধুমাত্র একটি ফাঁপা গহ্বর (blastocoel) গঠিত হয়।
🔸 এই গহ্বরটি fluid-filled cavity, যেটি blastula (ব্লাস্টুলা) পর্যায়ে থাকে।
🔸 এটি কোশসমূহকে সংগঠিত হতে সাহায্য করে এবং পরবর্তীতে gastrulation (গ্যাস্ট্রুলেশন) এর ভিত্তি তৈরি করে।
5. ডিম্বাণুর সাইটোপ্লাজমের বিভিন্ন উপাদান ও অবস্থান শুরুতে যেমন ছিল, ক্লিভেজের সময়ও তেমনই থাকে।
🔸 এই অবস্থাকে বলে cytoplasmic localization (সাইটোপ্লাজমিক লোকালাইজেশন)।
🔸 ডিম্বাণুর নির্দিষ্ট অংশে থাকা mRNA, proteins, yolk ইত্যাদি একই জায়গায় থাকে যাতে পরবর্তী কোশগুলো তাদের নির্দিষ্ট ভূমিকা পায়।
6. ভ্রূণের রাসায়নিক গঠনে কোন গুণগত পরিবর্তন (qualitative change) ঘটে না।
🔸 অর্থাৎ, নতুন কোন প্রোটিন তৈরি হয় না, কারণ zygotic genome (নিষিক্ত ডিম্বাণুর জিনোম) তখনো সক্রিয় হয়নি।
🔸 এই পর্যায়ে ভ্রূণ মাতৃসূত্রে প্রাপ্ত mRNA ও প্রোটিন ব্যবহার করে চলে।
7. নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজমের অনুপাত (nucleus-to-cytoplasm ratio) ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।
🔸 নিষিক্ত ডিম্বাণুতে সাইটোপ্লাজম অনেক বেশি থাকে ও নিউক্লিয়াস তুলনামূলকভাবে ছোট।
🔸 ক্লিভেজ চলাকালে প্রতিবার বিভাজনের সাথে সাইটোপ্লাজম ছোট ছোট ভাগে বিভক্ত হয়, ফলে nuclear content বেড়ে যায় আপেক্ষিকভাবে, যতক্ষণ না এটি সাধারণ দেহকোশের (somatic cell) অনুপাতে এসে পৌঁছে।
🧬 Cleavage-এর সময় Mitosis-এর বৈশিষ্ট্য (Peculiarities of Mitosis in Cleavage)
সাধারণ মাইটোসিস (Mitosis in Somatic Cells) ও ক্লিভেজের মাইটোসিস (Mitosis in Cleavage) মূলত একই প্রক্রিয়া হলেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য থাকে, যেমন:
✅ 1. কোষ বিভাজনের সঙ্গে বৃদ্ধি (growth) ঘটে না:
🔹 সাধারণ দেহকোষে (somatic cells), প্রতিটি mitotic division এর পর কন্যা কোষ (daughter cells) কিছুটা বড় হয়, এবং নির্দিষ্ট আকারে পৌঁছালে আবার বিভাজিত হয়।
🔹 কিন্তু cleavage চলাকালীন, blastomeres (ব্লাস্টোমিয়ার) গুলো একটানা বিভাজিত হয়, কিন্তু মাঝে কোনো বৃদ্ধি ঘটে না।
🔹 ফলে কোষের আকার ছোট থেকে ছোটতর হতে থাকে।
✅ 2. Interphase (ইন্টারফেজ) খুব সংক্ষিপ্ত হয়:
🔹 সাধারণভাবে interphase হলো সেই সময় যখন কোষ বিভাজনের মাঝে বিশ্রাম নেয় ও প্রস্তুতি নেয় (যেমন DNA গঠিত হয়)।
🔹 কিন্তু cleavage-এ এই interphase বা inter-mitotic interval অনেক ছোট থাকে।
🔹 এতে কোষ খুব দ্রুত একের পর এক বিভাজিত হতে পারে।
✅ 3. প্রথমে নিউক্লিয়াস বিভাজিত হয় (Karyokinesis), তারপর সাইটোপ্লাজম (Cytokinesis):
🔹 প্রতিটি cleavage division-এ প্রথমে nuclear division (karyokinesis) হয় এবং তারপর হয় cytoplasmic division (cytokinesis)।
🔹 এতে 2 → 4 → 8 → 16 → 32 এভাবে ক্রমবর্ধমান blastomeres তৈরি হয়।
🔹 প্রথম কয়েকটি বিভাজন হয় synchronous (সমলয়পূর্ণ), কিন্তু পরে asynchronous (অসমলয়পূর্ণ) হয়ে যায়, অর্থাৎ সব কোষ একসাথে বিভাজিত হয় না।
🔁 Cleavage-এর গতি (Rate of Cleavage)
Cleavage-এর গতি নির্ধারিত হয় মূলত সাইটোপ্লাজম (cytoplasm) দ্বারা, নিউক্লিয়াস (nucleus) দ্বারা নয়।
✅ 1. Yolk (ডিমের কুসুম) প্রভাব ফেলে:
🔹 ডিম্বাণুতে যত বেশি yolk (কুসুম) থাকে, cleavage তত ধীরে হয়।
🔹 উদাহরণ: পাখি বা সরীসৃপের ডিমে অনেক বেশি yolk থাকায় cleavage ধীর হয়।
✅ 2. তাপমাত্রা (Temperature) এর প্রভাব:
🔹 সামান্য তাপমাত্রা বৃদ্ধি বা হ্রাস cleavage-এর গতি বাড়াতে বা কমাতে পারে।
🔹 সাধারণত গরম পরিবেশে cleavage দ্রুত হয়।
✅ 3. অক্সিজেনের অভাব বা অতিরিক্ত কার্বন ডাইঅক্সাইডের প্রভাব:
🔹 অক্সিজেনের অভাবে (absence of oxygen) অথবা
🔹 অতিরিক্ত CO₂ এর উপস্থিতিতে,
🔹 cleavage বন্ধ বা ধীর হয়ে যায়, কারণ কোষের বিপাকক্রিয়া (metabolism) ব্যাহত হয়।
🧬 কোষ বিভাজনের সময় ক্লিভেজ তল (Cleavage Plane at Cell Division)
🟣 1. Cleavage Furrow কীভাবে ও কোথায় গঠিত হয়?
🔹 কোষ বিভাজনের সময়, প্রথমে কোষে একটি বাঁকানো খাঁজ বা দাগ দেখা যায় যাকে বলে cleavage furrow (ক্লিভেজ ফারো)।
🔹 এই খাঁজটি কোষের বাইরের স্তর cortex (কর্টেক্স) এ তৈরি হয় — cortex হলো কোষের বাইরের পাতলা, নমনীয় স্তর।
🔹 এই ফারোটি প্রথমে mitotic spindle (মাইটোটিক স্পিন্ডল) এর সবচেয়ে কাছের অঞ্চলে শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে কোষের চারপাশ ঘুরে সম্পূর্ণ রিং-এর মতো গঠিত হয়।
🔹 এটি কোষকে দুটি ভাগে ভাগ করতে সাহায্য করে — প্রতিটি অংশে একটি করে নিউক্লিয়াস এবং সাইটোপ্লাজম থাকে।
🟣 2. Cleavage Plane নির্ধারণে কার ভূমিকা বেশি — Spindle না Aster?
🔹 আগে মনে করা হত, কোষ বিভাজনের সমতল (plane) নির্ধারণ করে mitotic spindle।
🔹 কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, এই কাজটি আসলে করে asters (আস্টার) — যা centrosome (সেন্ট্রোসোম) থেকে তৈরি হয়।
🟣 3. Centrosome ও Aster কীভাবে কাজ করে?
🔹 Mitosis (মাইটোসিস) শুরু হলে, কোষের মধ্যে থাকা একটি centrosome বিভক্ত হয়ে দুটি daughter centrosomes এ পরিণত হয়।
🔹 প্রতিটি centrosome কোষের বিপরীত দিকে চলে যায় (pole formation) এবং সেখান থেকে গঠিত হয় asters — যেগুলি হলো তারকামুখী (star-shaped) microtubule এর গঠন।
🔹 এই asters কোষের cortex-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে, এবং সেই যোগাযোগের জায়গায় cleavage furrow গঠনের সংকেত দেয়।
🟣 4. Cleavage Plane-এর বিন্যাস কেমন হয়?
🔹 প্রতিটি cleavage division সাধারণত আগের cleavage plane-এর সঙ্গে ৯০° কোণে (right angle) তৈরি হয়।
🔹 উদাহরণ:
- প্রথম division যদি উল্লম্ব (vertical) হয় (animal pole থেকে vegetal pole),
- তবে পরেরটি হবে অনুভূমিক (horizontal) বা সমান্তরাল (parallel),
- তারপর আবার তির্যক বা ক্রমাগত ঘূর্ণায়মান কৌণিকভাবে বিভাজন হতে থাকে।
🔹 এই পদ্ধতিতে কোষগুলো সংগঠিত ও সুষমভাবে ছোট ছোট blastomeres এ বিভক্ত হয়।
🟡 উপসংহার (Summary)
উপাদান | ভূমিকা |
---|---|
Mitotic spindle | নিউক্লিয়াস বিভাজনে সহায়তা করে |
Centrosome | বিভাজনের মেরু নির্ধারণ করে |
Asters | Cleavage furrow কোথায় গঠিত হবে তা নির্দেশ করে |
Cortex | ফারোর গঠনের জায়গা |
Cleavage Plane | আগের ফারোর সঙ্গে ৯০° কোণে গঠিত হয় |
🧬 Planes of Cleavage (ভ্রূণের ক্লিভেজ বিভাজনের দিক বা তল)
ক্লিভেজ সমতল হলো সেই নির্দিষ্ট দিক বা পথ, যেদিক দিয়ে কোষ বিভাজিত হয়। এটি নির্ভর করে ডিম্বাণুর গঠন, Yolk-এর পরিমাণ ও বন্টন, এবং স্পিন্ডলের অবস্থানের ওপর।
🔹 1. Meridional Plane (মেরিডিয়ান বা মধ্যরেখা তল)
🧭 কোথা দিয়ে যায়?
→ একেবারে ডিম্বাণুর মধ্যদিয়ে, অর্থাৎ animal pole থেকে শুরু হয়ে সরাসরি vegetal pole–এ যায়।
→ ঠিক পৃথিবীর Prime Meridian এর মতো, ডিমকে সমান দুই ভাগে ভাগ করে।
![]() |
Meridional Plane |
🧬 ফলাফল:
→ ২টি সমান আকারের blastomere (ব্লাস্টোমিয়ার) তৈরি হয়।
📘 উদাহরণ:
→ Amphioxus, frog এর প্রথম ও দ্বিতীয় cleavage
→ Chick-এর প্রথম cleavage
🧠 বিশেষ তথ্য:
✓ প্রথম cleavage প্রায় সব প্রাণীতেই meridional হয় কারণ এটি সুষম বিভাজনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
🔹 2. Vertical Plane (ভার্টিক্যাল বা লম্বালম্বি তল)
🧭 কোথা দিয়ে যায়?
→ animal থেকে vegetal pole–এর দিকে যায়, কিন্তু মধ্য অক্ষ বরাবর না, বরং একপাশ দিয়ে।
→ ঠিক যেমন আপনি আপেলের পাশে ধার দিয়ে কাটেন।
![]() |
Vertical Plane |
🧬 ফলাফল:
→ ২টি অসমান আকারের blastomere তৈরি হয়।
📘 উদাহরণ:
→ Chick-এর তৃতীয় cleavage
→ Amia calva, Lepidosteus osseus–এর তৃতীয় cleavage
🧠 বিশেষ তথ্য:
✓ এই plane সাধারণত cleavage-এর তৃতীয় বা পরবর্তী ধাপে দেখা যায়।
🔹 3. Equatorial Plane (ইকুয়েটোরিয়াল তল)
🧭 কোথা দিয়ে যায়?
→ animal এবং vegetal pole-এর মাঝখানে অনুভূমিকভাবে ডিমকে ভাগ করে।
→ একে পৃথিবীর equator-এর সাথে তুলনা করা যায়।
![]() |
Equatorial Plane |
🧬 ফলাফল:
→ ২টি সমান আকারের উপর ও নিচের স্তরের কোষ (tiers of cells) তৈরি হয়।
📘 উদাহরণ:
→ Mammals–এর প্রথম cleavage
→ Ambystoma maculatum–এর পঞ্চম cleavage
🧠 বিশেষ তথ্য:
✓ এই সমতলে বিভাজনের ফলে কোষের ভেতর উপরের ও নিচের স্তরের ভাগ করা সহজ হয় যা blastula গঠনে সাহায্য করে।
🔹 4. Latitudinal Plane (ল্যাটিচিউডিনাল / Horizontal Plane)
🧭 কোথা দিয়ে যায়?
→ Equator-এর সমান্তরাল, কিন্তু একদম equator দিয়ে না গিয়ে, তার উপরে বা নিচে দিয়ে।
![]() |
Latitudinal Plane |
🧬 ফলাফল:
→ উপরের ও নিচের কোষ অসমান আকারের হয়।
📘 উদাহরণ:
→ Amphioxus ও Frog–এর তৃতীয় cleavage
🧠 বিশেষ তথ্য:
✓ এটি সাধারনত তৃতীয় বা চতুর্থ cleavage-এ দেখা যায় এবং কোষের স্তর বিভাজনে গুরুত্বপূর্ণ।
🧾 তুলনামূলক টেবিল
Cleavage Plane | পথের ধরন | Blastomere আকার | উদাহরণ |
---|---|---|---|
Meridional | মধ্য অক্ষ বরাবর (vertical) | সমান | Frog, Amphioxus (1st cleavage) |
Vertical | পাশ দিয়ে vertical | অসমান | Chick (3rd cleavage) |
Equatorial | অনুভূমিক, মাঝ বরাবর | সমান | Mammals (1st cleavage) |
Latitudinal | equator-এর উপর/নিচ, parallel | অসমান | Frog (3rd cleavage) |
🟠 1. Role of Yolk (ভ্রূণ বিভাজনে Yolk-এর ভূমিকা)
Yolk (ভিটেলিন পদার্থ) একটি পুষ্টিকর পদার্থ যা developing embryo-কে energy দেয়। তবে বেশি yolk থাকলে, সেটা কোষ বিভাজনকে ধীর করে দেয় বা বাধা দেয়।
➡️ কার্যপ্রণালি:
- Yolk বেশি হলে: Cleavage ধীরে হয় বা অসম্পূর্ণ হয়।
- Yolk কম হলে: Cleavage দ্রুত হয় ও সম্পূর্ণ হয়।
➡️ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
- Animal pole → কম yolk → active division হয়।
- Vegetal pole → বেশি yolk → ধীর বা না-হওয়া cleavage।
যেখানে yolk কম, সেখানে cleavage বেশি হয়, কারণ yolk cytokinesis (সাইটোপ্লাজম ভাগ হওয়া) কে বাধা দেয়, কিন্তু nuclear division (mitosis) বন্ধ করে না।
🟢 2. Types of Cleavage Based on Yolk (ভ্রূণ বিভাজনের ধরণ yolk-এর উপর ভিত্তি করে)
🟩 (a) Holoblastic Cleavage (সম্পূর্ণ বিভাজন)
→ পুরো ডিম্বাণু ভাগ হয়।
(i) Equal Holoblastic Cleavage
- Yolk কম (Microlecithal), সমভাবে ছড়ানো (Isolecithal)।
- সব কোষ সমান আকারের হয়।
- 🧪 উদাহরণ: Amphioxus, Human, Rabbit
(ii) Unequal Holoblastic Cleavage
- Yolk মাঝারি পরিমাণে থাকে, বেশি থাকে Vegetal pole-এ।
- Animal pole-এ ছোট কোষ (micromeres), Vegetal pole-এ বড় কোষ (macromeres)।
- 🧪 উদাহরণ: Frog, Salamander
🟥 (b) Meroblastic Cleavage (আংশিক বিভাজন)
→ পুরো ডিম্বাণু ভাগ হয় না।
(i) Discoidal Meroblastic Cleavage
- ডিমে অনেক বেশি yolk থাকে (Macrolecithal, Highly telolecithal)।
- Cleavage হয় শুধু animal pole-এর ডিস্ক আকৃতির active অংশে।
- 🧪 উদাহরণ: Birds, Reptiles, Fishes (Shark)
(ii) Superficial Meroblastic Cleavage
- Yolk ডিমের কেন্দ্রে থাকে (Centrolecithal)।
- Cleavage হয় কেবল বাহিরের পাতলা সাইটোপ্লাজমিক স্তরে।
- 🧪 উদাহরণ: Insects (Drosophila)
🟡 Cleavage Based on Egg Organization
(ডিম্বাণুর অভ্যন্তরীণ গঠন ও সাইটোপ্লাজমিক ফ্যাক্টর অনুযায়ী বিভাজনের ধরন)
👉 ব্যাখ্যা:
যদিও yolk-এর পরিমাণ cleavage-এর ধরন নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ, তবে কিছু ক্ষেত্রে ডিম্বাণুর
অভ্যন্তরে থাকা নির্দিষ্ট গঠন ও chemical factors (যেমন: cytoplasmic determinants, spindle orientation ইত্যাদি) কোষ বিভাজনের কোণ ও সময় নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখে।
✅ প্রধান চারটি Holoblastic Cleavage Pattern:
1. Radial Holoblastic Cleavage
(রেডিয়াল সম্পূর্ণ বিভাজন)
🔹 বৈশিষ্ট্য:
- কোষ বিভাজনের ফলে সৃষ্ট blastomeres (কোষসমূহ) একে অপরের উপর সোজাভাবে থাকে।
- উপরের স্তরের কোষ নিচের স্তরের ঠিক উপরেই থাকে → radial symmetry তৈরি হয়।
- Mitotic spindle উলম্ব (vertical) বা আনুভূমিক (horizontal) হয়।
🔹 বোঝার উপায়:
ডিম্বাণুটি যেন চক্রাকারে সমানভাবে ভাগ হচ্ছে।
🔹 উদাহরণ:
Echinoderms (Sea star), Amphioxus, Frog (আংশিকভাবে)
2. Spiral Holoblastic Cleavage
(ঘূর্ণায়মান সম্পূর্ণ বিভাজন)
🔹 বৈশিষ্ট্য:
- প্রত্যেক কোষ পূর্ববর্তী কোষের মাঝে মাঝে বিভাজিত হয়, একে অপরের উপর সরাসরি থাকে না।
- Cleavage planes oblique (তির্যক) হয়।
- কোষগুলো ঘুরে ঘুরে সাজানো থাকে — ফলে spiral pattern তৈরি হয়।
🔹 বোঝার উপায়:
blastomeres যেন ঘূর্ণায়মান ধাঁচে বসানো।
🔹 উদাহরণ:
Annelids (Earthworm), Molluscs (Snail), Flatworms
3. Bilateral Holoblastic Cleavage
(দ্বিপার্শ্বীয় সম্পূর্ণ বিভাজন)
🔹 বৈশিষ্ট্য:
- প্রথমে cleavage radial হয়, কিন্তু পরবর্তী cleavage এ symmetry শুধুমাত্র একটি মধ্যরেখা (median plane)-তে থাকে।
- ডিম্বাণুর এক পাশ বড় কোষ (anterior), অন্য পাশে ছোট কোষ (posterior) থাকে।
🔹 বোঝার উপায়:
ডিমের ডান ও বাম দিকে সমান ভাগ হলেও সামনের ও পেছনের দিকে অসমান থাকে।
🔹 উদাহরণ:
Tunicates (Sea squirts)
4. Rotational Holoblastic Cleavage
(ঘূর্ণনধর্মী সম্পূর্ণ বিভাজন)
🔹 বৈশিষ্ট্য:
- প্রথম cleavage vertical → সমান বিভাজন।
- এরপর blastomeres আলাদাভাবে বিভাজিত হয় — একটিতে vertical, অন্যটিতে horizontal cleavage হয়।
- কোষ বিভাজনের গতি একরকম না — এক কোষ দ্রুত, অন্যটি ধীরে বিভাজিত হয়।
- কোষের আকারেও পার্থক্য হয়।
🔹 বোঝার উপায়:
blastomeres একসাথে নয়, ভিন্নভাবে এবং ভিন্ন কোণে বিভক্ত হচ্ছে।
🔹 উদাহরণ:
Higher mammals (Human, Rabbit, Mouse)
📝 সহজ উপসংহার (Quick Summary)
Cleavage Type | Yolk Level | Cleavage Style | Example |
---|---|---|---|
Equal Holoblastic | কম | সমান বিভাজন | Amphioxus, Human |
Unequal Holoblastic | মাঝারি | অসমান বিভাজন | Frog, Amphibians |
Discoidal Meroblastic | অনেক বেশি | শুধু disc-এ বিভাজন | Bird, Reptile |
Superficial Meroblastic | কেন্দ্রীয় yolk | বাহিরে বিভাজন | Insect |
Radial Holoblastic | কম | রেডিয়াল symmetry | Sea star |
Spiral Holoblastic | কম | Spiral pattern | Snail, Earthworm |
Bilateral Holoblastic | মাঝারি | কেবল মধ্য অক্ষে symmetry | Tunicates |
Rotational Holoblastic | খুব কম | অসমান গতি | Mammals |
Key Takeaways:
- Holoblastic cleavage → সম্পূর্ণ বিভাজন (whole egg divides)
- Meroblastic cleavage → আংশিক বিভাজন (partial division)
- Yolk পরিমাণ যত বেশি, cleavage তত সীমিত
- Pattern নির্ভর করে symmetry এবং spindle orientation-এর উপর