Bryophytes / ব্রায়োফাইট

ব্রায়োফাইটের বৈশিষ্ট্য

Characteristics of Bryophytes

পরিচয় (Identity)

  • ব্রায়োফাইট হলো স্থলজ উদ্ভিদ (terrestrial plants) যারা জলজ পরিবেশ থেকে স্থলজ পরিবেশে অভিযোজিত হয়েছে।
  • তবে প্রজননের (reproduction) জন্য এরা এখনো জলের উপর নির্ভরশীল।
  • তাই এদের উভচর উদ্ভিদ (Amphibians of Plant Kingdom) বলা হয়।

পরিসংখ্যান (Statistics)

গোটা বিশ্বে প্রায় ৮৫০টি গণ [genera] এবং ২৪,০০০টি প্রজাতি [species] বিদ্যমান।

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি (Important Personalities)

  • হেডউইগ (Hedwig) কে ব্রায়োলজির জনক (Father of Bryology) বলা হয়।
  • শিব রাম কাশ্যপ (Shiv Ram Kashyap) হলেন ভারতীয় ব্রায়োলজির জনক (Father of Indian Bryology)।

বাসস্থান ও গঠন (Habitat and Structure)

  • সাধারণত আর্দ্র (moist), স্যাঁতসেঁতে (damp) ও ছায়াযুক্ত (shady) স্থানে জন্মে।
  • এদের দেহ থ্যালাস (thallus)-সদৃশ – অর্থাৎ দেহ বিভক্ত নয় এবং চ্যাপ্টা বা খাড়া আকারের হতে পারে।
  • প্রকৃত মূল (true root), কাণ্ড (stem), বা পাতা (leaf) অনুপস্থিত।
  • ব্রায়োফাইট উদ্ভিদে হায়ালিন সেল (Hyaline cells) বা মৃত কোষ বিশেষভাবে অভিযোজিত হয়ে জল সংরক্ষণে সাহায্য করে।প্রধানত লিভারওয়ার্ট (Marchantia) ও স্ফাগনাম মসে (Sphagnum moss) দেখা যায়
  • জাইলেম ও ফ্লোয়েম [Xylem and Phloem] নেই, তাই এদের অ্যাট্রিকোফাইটা (Atracheophyta) বলা হয়।
  • পুরো দেহ সাধারণত প্যারেনকাইমা কোশ [parenchymatous cells] দিয়ে গঠিত।
  • কিউটিকল পাতলা (জল শোষণের জন্য উপযোগী)

রাইজোয়েডের ধরন (Types of Rhizoids)

  • নিচু শ্রেণির ব্রায়োফাইটে (e.g., liverworts) রাইজোয়েড একককোশী (unicellular) ও শাখাবিহীন (unbranched)।
  • উন্নত শ্রেণির (e.g., mosses) রাইজোয়েড বহুকোশী (multicellular) ও শাখাযুক্ত (branched)।

পরিণত গ্যামেটোফাইট এর গঠন :

  • গ্যামেটোফাইট [Gametophyte] হলো দীর্ঘজীবী (long-lived), স্বাধীন (independent) ও প্রধান (dominant) পর্যায়।
  • এটি হ্যাপ্লয়েড (n) [Haploid] প্রকৃতির।
  • Cauloid : কাণ্ডের মতো অংশ (সত্যিকারের কাণ্ড নয়)
  • ফাইলয়েড (Phylloid): পাতার মতো অংশ (সত্যিকারের পাতা নয়)
  • রাইজয়েড (Rhizoid): মূলের মতো সুতা (জল ও খনিজ শোষণ করে)
  • প্রাথমিক পর্যায়ের গ্যামেটোফাইট ভূমির উপর চ্যাপ্টা বা প্রোস্টেট (prostrate), উন্নত পর্যায়ে সোজা (erect) হয়।

স্পোরোফাইট গঠন (Sporophyte Structure)

  • নিষিক্ত জাইগোট (zygote) বিশ্রাম ছাড়াই বিভাজিত হয়ে একটি বহুকোষী স্পোরোফাইট (multicellular sporophyte) গঠন করে।
  • স্পোরোফাইট [Sporophyte] হলো স্বল্পস্থায়ী (short-lived), ডিপ্লয়েড (2n) [Diploid] এবং পুরোপুরি গ্যামেটোফাইটের উপর নির্ভরশীল (dependent)।
  • এই স্পোরোফাইট ৩টি অংশে বিভক্ত:

    • ফুট (Foot): গ্যামেটোফাইটের সাথে সংযুক্ত থাকে।
    • সিটা (Seta): ক্যাপসুলকে উচ্চে ধরে রাখে।
    • ক্যাপসুল (Capsule): যেখানে স্পোর তৈরি হয়। পেরিস্টোম (Peristome) হল স্পোর মুক্তির জন্য বিশেষ দাঁতের মতো গঠন। অপারকুলাম (Operculum) হল ক্যাপসুলের ঢাকনা।

গ্যামেটোফাইটের জনন অঙ্গ (Sex Organ of Gametophyte) :-

  • পুরুষ জনন অঙ্গ [Male sex organ]: অ্যান্থেরিডিয়াম (Antheridium) – এটি বহু কোশ বিশিষ্ট, দুটি ফ্ল্যাজেলা যুক্ত চলনক্ষম গ্যামেট উৎপন্ন করে।
  • স্ত্রী জনন অঙ্গ [Female sex organ] : আর্কিগোনিয়াম (Archegonium) – ফ্লাস্ক আকৃতির, একটিমাত্র ডিম্বাণু (egg) ধারণ করে।

ব্রায়োফাইটের প্রজনন পদ্ধতি (Reproduction in Bryophytes)

১. অঙ্গজ প্রজনন (Vegetative Reproduction) :-
     •খণ্ডায়ন (Fragmentation): গ্যামেটোফাইটের দেহ অংশ ভেঙে নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টি করে।
   • গেমা কাপ (Gemma Cups): থ্যালাসে গঠিত বিশেষ কাপে জেমা কোষ (Gemmae) তৈরি হয়, যা পড়ে নতুন উদ্ভিদ গজায় (যেমন Marchantia-তে দেখা যায়)।
    • কন্দ (Tubers): শুষ্ক মৌসুমে রাইজয়েডে সঞ্চয়ী কন্দ গঠন করে, যা পরে নতুন গ্যামেটোফাইট তৈরি করে।

২. অযৌন প্রজনন (Asexual Reproduction)
    • স্পোর (Spores): স্পোরোফাইটের ক্যাপসুলে মিয়োসিস দ্বারা হ্যাপ্লয়েড স্পোর তৈরি হয়, যা বাতাসে ছড়িয়ে নতুন গ্যামেটোফাইট গঠন করে।

৩. যৌন জনন (Sexual Reproduction) :
    • ঊগ্যামাস (oogamous) প্রকৃতির – অর্থাৎ বৃহৎ ও স্থির স্ত্রী গ্যামেট এবং চলনক্ষম ক্ষুদ্র পুরুষ গ্যামেট উৎপন্ন হয়।

উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য (Notable Feature)

ব্রায়োফাইট হলো প্রথম উদ্ভিদ গোষ্ঠী যারা ভ্রূণ [Embryo] ধারণ করে – এটি উদ্ভিদের উচ্চতর অভিযোজনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক।

ব্রায়োফাইটের জীবনচক্র (Bryophyte Life Cycle)

ব্রায়োফাইটের (যেমন- মস, লিভারওয়ার্ট, হর্নওয়ার্ট) জীবনচক্রে প্রজন্মান্তর (Alternation of Generations) দেখা যায়, যেখানে হ্যাপ্লয়েড (n) গ্যামেটোফাইটডিপ্লয়েড (2n) স্পোরোফাইট পর্যায় পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হয়।

১. গ্যামেটোফাইট পর্যায় (Gametophyte Generation - n)

  • স্ত্রী গ্যামেটোফাইট (Archegoniophore) : একটি হ্যাপ্লয়েড (n) উদ্ভিদ দেহ, যা আর্কিগোনিয়াম (Archegonium) নামক বিশেষ অঙ্গ ধারণ করে।
  • আর্কিগোনিয়াম হলো ফ্লাস্ক-আকৃতির গঠন, যার ভিতরে ডিম্বাণু মাতৃকোশ (Egg Mother Cell) থাকে।
  • ডিম্বাণু মাতৃকোশ (n) → মাইটোসিস বিভাজন → একটি ডিম্বাণু (n) + অন্যান্য সহায়ক কোশ।
  • ডিম্বাণুটি আর্কিগোনিয়ামের গর্ভাশয় (Venter)-এ সংরক্ষিত থাকে।
  • পুরুষ গ্যামেটোফাইট (Antheridiophore) : একটি হ্যাপ্লয়েড (n) উদ্ভিদ দেহ, যা অ্যান্থেরিডিয়াম (Antheridium) নামক বিশেষ অঙ্গ ধারণ করে।
  • অ্যান্থেরিডিয়াম হলো গোলাকার বা ডিম্বাকৃতির গঠন, যার ভিতরে শুক্রাণু মাতৃকোশ (Sperm Mother Cell) থাকে।
  • শুক্রাণু মাতৃকোষ (n) → (মাইটোসিস) → অসংখ্য শুক্রাণু (n)
  • শুক্রাণু দুটি ফ্ল্যাজেলা (Flagella) যুক্ত হওয়ার জন্য জলের মাধ্যমে (বৃষ্টি/শিশির) সাঁতার কেটে ডিম্বাণুর কাছে পৌঁছায়

২. নিষেক → জাইগোট (Zygote - 2n)

ডিম্বাণু (n) + শুক্রাণু (n)জাইগোট (2n) (ডিপ্লয়েড), যা আর্কিগোনিয়াম (Archegonium)-এর ভিতরে থাকে যা স্ত্রী-গ্যামেটোফাইটের অংশ ।  

৩. স্পোরোফাইট পর্যায় (Sporophyte Generation - 2n)

  • জাইগোট মাইটোসিস-এর মাধ্যমে ভ্রূণ (Embryo - 2n)-এ পরিণত হয়
  • পরবর্তীতে স্পোরোফাইট (2n) গঠন করে।
  • স্পোরোফাইটটি স্ত্রী-গ্যামেটোফাইটের সাথে যুক্ত থাকে এবং এর থেকে পুষ্টি গ্রহণ করে
  • পরিণত স্পোরোফাইটের তিনটি অংশ:
    1. ফুট (Foot) - গ্যামেটোফাইটের সাথে সংযুক্ত থাকে
    2. সিটা (Seta) - একটি ডাঁটার মতো অংশ
    3. ক্যাপসুল (Capsule) - স্পোর তৈরি করে

৪. মিয়োসিস → স্পোর (Spores - n)

  • ক্যাপসুলের ভিতরে স্পোর মাদার সেল (Spore Mother Cells - 2n) থাকে
  • এগুলি মিয়োসিস (Meiosis)-এর মাধ্যমে হ্যাপ্লয়েড স্পোর (n) তৈরি করে
  • স্পোরগুলি ক্যাপসুল ফেটে বেরিয়ে যায় এবং বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে

৫. অঙ্কুরোদগম → নতুন গ্যামেটোফাইট (New Gametophyte - n)

  • স্পোরগুলি আর্দ্র স্থানে পড়ে প্রোটোনিমা (Protonema) গঠন করে (একটি সুতার মতো অংশ)
  • প্রোটোনিমা থেকে নতুন পুরুষ বা স্ত্রী গ্যামেটোফাইট তৈরি হয়
  • এভাবে চক্রটি পুনরাবৃত্ত হয়। 

ব্রায়োফাইট জীবনচক্রের মূল বৈশিষ্ট্য:

  • গ্যামেটোফাইট (n) প্রধান পর্যায় (বড়, দীর্ঘস্থায়ী, সালোকসংশ্লেষী)
  • স্পোরোফাইট (2n) ছোট, স্বল্পস্থায়ী এবং গ্যামেটোফাইটের উপর নির্ভরশীল
  • নিষেকের জন্য জল প্রয়োজন (শুক্রাণুকে সাঁতার কেটে ডিম্বাণুর কাছে যেতে হয়)
  • স্পোরগুলি বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় এবং নতুন স্থানে পুরুষ বা স্ত্রী গ্যামেটোফাইট  জন্মায় ।

এই চক্রটি মিয়োসিসের মাধ্যমে জিনগত বৈচিত্র্য বজায় রাখে এবং ব্রায়োফাইটের হ্যাপ্লয়েড-প্রধান জীবনধারা বজায় রাখে।

Classification of Bryophytes (ব্রায়োফাইটসের শ্রেণীবিন্যাস)

সাম্প্রতিক শ্রেণীবিন্যাস অনুসারে, Bryophyta প্রধানত তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত:


A. Hepaticopsida (Liverworts)

"Hepatic" শব্দের অর্থ liver (যকৃত), আর এই নাম থেকেই এসেছে Liverworts।

এই শ্রেণির উদ্ভিদগুলো দেখতে যকৃতের মতো বলে এমন নামকরণ।

Hepaticopsida-এর অন্তর্ভুক্ত প্রধান ৪টি order:

  • Marchantialesউদাহরণ: Riccia, Marchantia
  • Sphaerocarpalesউদাহরণ: Sphaerocarpos
  • Calobryalesউদাহরণ: Calobryum
  • Jungermannialesউদাহরণ: Pellia

Hepaticopsida-এর মূল বৈশিষ্ট্য (Main Characteristics)

১. গ্যামেটোফাইট (Gametophyte):

  • গ্যামেটোফাইট উদ্ভিদটি হয় থ্যালয়েড (thalloid) অথবা ফোলিওস (foliose)
  • Foliose ধরনের গ্যামেটোফাইটে পাতা থাকে কিন্তু তার মাঝে কোনো midrib (মধ্যশিরা) থাকে না এবং তা dorsiventral (উপর-নিচ স্পষ্টভাবে বিভক্ত) হয়।
  • Thalloid গঠনে গ্যামেটোফাইট হয় dorsiventral, lobed (খাঁজকাটা) এবং dichotomously branched (দ্বিখন্ডিত শাখা বিভাজিত)

২. ক্লোরোপ্লাস্ট (Chloroplast):

থ্যালাস (thallus) এর প্রতিটি কোষে থাকে অনেকগুলো chloroplast, কিন্তু pyrenoids (পাইরিনয়েড) থাকে না।

৩. রাইজয়েড (Rhizoids):

Rhizoids হয় unicellular (এককোষী), branched (শাখাবিশিষ্ট) এবং aseptate (কোনো বিভাজন প্রাচীর নেই)

৪. জনন অঙ্গ (Sex Organs):

Antheridia (male)Archegonia (female) গঠিত হয় গ্যামেটোফাইটের উপরের দিকে (dorsally) এবং থাকে tissue-এর ভিতরে বসানো অবস্থায়।

৫. স্পোরোফাইট (Sporophyte):

  • Riccia-তে sporophyte গঠিত শুধু capsule দ্বারা।
  • Marchantia-তে sporophyte গঠিত হয় foot, seta এবং capsule দ্বারা।
  • Capsule-এ columella (মধ্যস্তম্ভ) থাকে না।
  • Capsule-এর ভিতরের sporogenous tissue (spore উৎপাদনকারী টিস্যু) গঠিত হয় endothecium (অভ্যন্তরীণ স্তর) থেকে।

প্রজনন (Reproduction):

১. অযৌন প্রজনন (Asexual Reproduction):

  • হয় fragmentation (খণ্ডায়ন) বা gemmae এর মাধ্যমে।
  • Gemmae হয় সবুজ, multicellular asexual bud, যা তৈরি হয় gemma cup এর ভিতরে।
  • Gemma cup থেকে gemma বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং নতুন গ্যামেটোফাইট গড়ে তোলে।

২. যৌন প্রজনন (Sexual Reproduction):

  • Antheridium এবং Archegonium হয় একই থ্যালাসে (monoecious) বা ভিন্ন থ্যালাসে (dioecious).
  • Antheridium থেকে sperm, এবং Archegonium থেকে egg তৈরি হয়।
  • Fertilization (নিষেক) এর মাধ্যমে zygote (2n) গঠিত হয়।
  • Zygote থেকে sporophyte (2n) তৈরি হয়।
  • Sporophyte-এর কিছু কোষ meiosis করে haploid spores (n) উৎপন্ন করে।
  • এই spores অঙ্কুরিত হয়ে free-living, photosynthetic gametophytes-এ পরিণত হয়।

B. Anthocerotopsida (Hornworts)

প্রায় ৩০০টি প্রজাতি রয়েছে। এদের সাধারণভাবে বলা হয় Hornworts

শ্রেণিবিন্যাস:

  • Order: Anthocerotales (একমাত্র order)
  • উদাহরণ: Anthoceros, Megaceros, Notothylas

মূল বৈশিষ্ট্য (Main Features):

১. গ্যামেটোফাইট (Gametophyte):

  • গ্যামেটোফাইটিক দেহ হয় চ্যাপ্টা (flat), dorsiventral, এবং সহজ thalloid
  • Rhizoids হয় smooth-walled (মসৃণ প্রাচীরবিশিষ্ট)
  • প্রতিটি কোষে থাকে একটি মাত্র chloroplast + pyrenoid (খাদ্য সংরক্ষণ কেন্দ্র)।

২. লিঙ্গাঙ্গ (Sex Organs):

Antheridia (পুরুষ) ও Archegonia (মহিলা) থাকে thallus-এর উপরের দিকে (dorsally embedded)।

৩. স্পোরোফাইট (Sporophyte):

  • গঠিত হয় foot, meristematic zone (কোষ বিভাজন এলাকা), ও capsule দ্বারা।
  • Sporogenous tissue তৈরি হয় amphithecium থেকে।
  • Capsule-এ থাকে:
    • Pseudoelaters (স্পোর ছড়ায়, কিন্তু 진짜 elaters নয়)
    • Columella (মধ্যস্তম্ভ; endothecium থেকে তৈরি)

প্রজনন (Reproduction):

১. অযৌন প্রজনন (Asexual Reproduction):

  • Fragmentation (থ্যালাস ভেঙে)
  • Tubers (গাঁটে গুটি তৈরি; অপ্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকে)

২. যৌন প্রজনন (Sexual Reproduction):

  1. Sperm (অ্যান্থেরিডিয়াম) → পানি মাধ্যমে archegonium এ পৌঁছায়।
  2. Zygote (2n)Sporophyte গঠন করে।
  3. পরিপক্ক sporophyte lengthwise ফেটে spores ছড়ায়।
  4. Haploid spores (n) → নতুন gametophyte তৈরি করে।

🚀 গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য:
১. প্রতিটি কোষে একটি chloroplast + pyrenoid
২. Sporophyte-এ columella ও pseudoelaters উপস্থিতি!

C. Bryopsida (Mosses)

এটি Bryophyta-র সবচেয়ে বড় শ্রেণি, যার প্রায় ১৪০০টি প্রজাতি রয়েছে।
সাধারণভাবে এদের বলা হয় Mosses (শৈবাল জাতীয় উদ্ভিদ)

উদাহরণ: Funaria, Polytrichum, Sphagnum


বিভাজন (Orders):

Bryopsida শ্রেণি ৫টি order-এ বিভক্ত:

  1. Bryales
  2. Andreales
  3. Sphagnales
  4. Polytrichales
  5. Buxbaumiales

মূল বৈশিষ্ট্য (Main Features):

১. গ্যামেটোফাইট (Gametophyte):

  • গ্যামেটোফাইট দুই ভাগে বিভক্ত:
    • Protonema: একটি প্রাথমিক, সবুজ, শৈবালসদৃশ গঠন
    • Foliose Gametophore: পাতাবিশিষ্ট শাখা (protonema থেকে উৎপন্ন)
  • Foliose গঠিত হয়:
    • একটি stem (কাণ্ড) যা axis হিসেবে কাজ করে
    • পাতাগুলোতে midrib (মধ্যশিরা) থাকে না
  • Rhizoids হয় multicellular, এবং এদের oblique septa (তির্যক বিভাজন) থাকে

২. জনন অঙ্গ (Sex Organs):

Antheridia (পুরুষ)Archegonia (মহিলা) থাকে কাণ্ডের শীর্ষে (apically on stem)

৩. স্পোরোফাইট (Sporophyte):

  • Sporophyte তিন ভাগে বিভক্ত:
    • Foot – গ্যামেটোফাইটের সঙ্গে সংযুক্ত অংশ
    • Seta – একটি লম্বা দণ্ড
    • Capsule – যেখানে spores তৈরি হয়
  • Sporogenous tissue তৈরি হয় endothecium থেকে
  • Capsule-এর ভিতরে থাকে columella (মধ্যস্তম্ভ)
  • Elaters অনুপস্থিত (যা liverwort-এ থাকে)
  • Capsule ফাটে lid (ঢাকনা) আলাদা হয়ে যাওয়ার মাধ্যমে (dehiscence)

প্রজনন (Reproduction):

১. অযৌন জনন (Asexual Reproduction):

  • হয় budding এবং fragmentation of secondary protonema দ্বারা
  • Secondary protonema থেকেও নতুন গ্যামেটোফাইট তৈরি হয়

২. যৌন জনন (Sexual Reproduction):

  1. AntheridiaArchegonia থাকে leafy shoot-এর শীর্ষে
  2. Fertilization-এর পর গঠিত zygote (2n) থেকে sporophyte তৈরি হয়
  3. এই sporophyte, liverwort-এর তুলনায় অনেক বেশি বিভাজিত ও উন্নত (differentiated)
  4. Sporophyte-এর spores meiosis-এর মাধ্যমে তৈরি হয়ে germinate করে gametophyte (n) গঠন করে

🌿 গুরুত্বপূর্ণ তথ্য: Mosses-এর sporophyte-এ columella থাকে কিন্তু elaters থাকে না, যা এদের liverworts থেকে আলাদা করে!

Botany Notes | SANTIGOPAL DAS

ব্রায়োফাইটের শ্রেণীবিভাগের পূর্ণাঙ্গ তুলনা

যকৃত শৈবাল, সাধারণ শৈবাল ও শিং-শৈবালের বৈশিষ্ট্য

বৈশিষ্ট্য Liverworts
(যকৃত শৈবাল)
Mosses
(শৈবাল)
Hornworts
(শিং-শৈবাল)
ক্যাপসুলের গঠন স্পোর উৎপাদনকারী ক্যাপসুলের গঠনগত বৈশিষ্ট্য
সরল Marchantia-তে সাধারণ ক্যাপসুল, কোনো জটিল গঠন নেই
গঠনে বিভাজিত Funaria-তে অপারকুলাম (ঢাকনা) ও পেরিস্টোম দাঁত থাকে
লম্বাটে Anthoceros-এ শিংয়ের মতো লম্বা ক্যাপসুল
কলুমেলা ক্যাপসুলের কেন্দ্রীয় অক্ষের গঠন
অনুপস্থিত Riccia/Marchantia-তে কলুমেলা নেই
উপস্থিত Polytrichum-এ স্পষ্ট কলুমেলা দেখা যায়
উপস্থিত Notothylas-এ কলুমেলা এন্ডোথিসিয়াম থেকে তৈরি
ডিহাইসেন্স ক্যাপসুল কীভাবে ফেটে স্পোর মুক্ত করে
লম্বালম্বি বা অনিয়মিত Pellia-তে ক্যাপসুল অনিয়মিতভাবে ফেটে যায়
আড়াআড়ি Sphagnum-এ অপারকুলাম আলাদা হয়ে যায়
লম্বালম্বি Megaceros-এ ক্যাপসুল লম্বালম্বি ফাটে
স্পোর ছড়ানো স্পোর কীভাবে পরিবেশে ছড়ায়
ইলেটার হাইগ্রোস্কোপিক ইলেটার স্পোর ছড়াতে সাহায্য করে
পেরিস্টোম দাঁত আর্দ্রতা পরিবর্তনে দাঁত নড়ে স্পোর ছড়ায়
সিউডো-ইলেটার এলেটারের মতো কাজ করে কিন্তু প্রকৃত ইলেটার নয়
বৃদ্ধি স্পোরোফাইটের বৃদ্ধির ধরন
নির্ধারিত Marchantia-তে সীমিত বৃদ্ধি
নির্ধারিত Funaria-তে নির্দিষ্ট আকারে বৃদ্ধি
ক্রমাগত Anthoceros-এ ক্রমাগত বৃদ্ধি ঘটে
স্পোর পরিপক্বতা স্পোর উৎপাদনের সময়কাল
একযোগে Riccia-তে সব স্পোর একসাথে পরিপক্ব হয়
একযোগে Polytrichum-এ সমস্ত স্পোর একই সময়ে তৈরি
ধাপে ধাপে Notothylas-এ স্পোর ধীরে ধীরে পরিপক্ব হয়
স্থিতিকাল স্পোরোফাইট কতদিন টিকে থাকে
ক্ষণস্থায়ী Pellia-র স্পোরোফাইট অল্পদিনেই ঝরে পড়ে
দীর্ঘস্থায়ী Sphagnum-এর স্পোরোফাইট মাসব্যাপী টিকে
দীর্ঘস্থায়ী Megaceros-এর স্পোরোফাইট দীর্ঘদিন বেঁচে থাকে
সেটা ক্যাপসুলকে ধরে রাখা দণ্ড
উপস্থিত Marchantia-তে ছোট সেটা থাকে
উপস্থিত Funaria-তে লম্বা সেটা দেখা যায়
অনুপস্থিত Anthoceros-এ সেটা নেই, সরাসরি ক্যাপসুল
স্টোমাটা গ্যাস বিনিময়ের রন্ধ্র
অনুপস্থিত Riccia-তে স্টোমাটা দেখা যায় না
উপস্থিত Polytrichum-এ সুস্পষ্ট স্টোমাটা
উপস্থিত Notothylas-এ স্টোমাটা বিদ্যমান
গঠন সামগ্রিক দৈহিক গঠন
ছোট, ক্লোরোফিল ছাড়াই Marchantia-র থ্যালাস পাতলা ও সরল
বড়, ক্লোরোফিলসহ Funaria-তে উন্নত কাণ্ড-পাতা গঠন
বড়, ক্লোরোফিলসহ Anthoceros-এ শক্তিশালী ক্লোরোপ্লাস্ট

ব্রায়োফাইটের পূর্ণাঙ্গ তুলনামূলক টেবিল | 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

About the Author

Santigopal Das is the creator of BIOSGD, a blog dedicated to exploring the fascinating world of biology in both English and Bengali. From cell structures to viral mechanisms, BIOSGD breaks down complex science into simple concepts.