মনেরা (Monera) জগতের শ্রেণিবিন্যাস প্রোক্যারিওটিক জীবদের অন্তর্ভুক্ত করে, যাদের কোষে পর্দা-ঘেরা নিউক্লিয়াস বা অন্যান্য কোষীয় অঙ্গাণু (organelles) নেই। আধুনিক শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী, মনিরা জগতকে দুটি প্রধান গ্রুপে বিভক্ত করা হয়েছে:
1. ইউব্যাকটেরিয়া (Eubacteria)
2. আর্কিব্যাকটেরিয়া (Archaebacteria)
নিচে মনেরা জগতের শ্রেণিবিন্যাস বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো:
ইউব্যাকটেরিয়া (Eubacteria)
ইউব্যাকটেরিয়া (Eubacteria) হলো এককোশী প্রোক্যারিওটিক অণুজীব, যাদের প্রকৃত ব্যাকটেরিয়া(True Bacteria) হিসেবেও জানা যায়। এরা গ্রাম পজিটিভ এবং গ্রাম নেগেটিভ উভয় ধরনের ব্যাকটেরিয়াকে অন্তর্ভুক্ত করে, তবে আর্কিয়াব্যাকটেরিয়া (Archaebacteria) এদের অন্তর্ভুক্ত নয়। ইউব্যাকটেরিয়া বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য নিয়ে গঠিত এবং পৃথিবীর বিভিন্ন পরিবেশে বিদ্যমান।
সমস্ত জীবকে তিনটি ডোমেইনে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে: ডোমেইন আর্কিয়া (Archaea), ডোমেইন ইউক্যারিওটা (Eukaryota), এবং ডোমেইন ইউব্যাকটেরিয়া (Eubacteria)। ইউব্যাকটেরিয়া হলো মনেরা (Monera) রাজ্যের একটি জটিল ডোমেইন।
ইউব্যাকটেরিয়া হলো এককোশী জীব যাদের কোন সুসংগঠিত নিউক্লিয়াস নেই এবং এরা পৃথিবীর প্রায় সব ধরনের পরিবেশে বাস করতে পারে। এদের বৈশিষ্ট্য এবং বাসস্থানের বৈচিত্র্য এদেরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আকর্ষণীয় করে তোলে।
ইউব্যাকটেরিয়ার বৈশিষ্ট্য
কোশ গঠন:
প্রোক্যারিওটিক (পর্দা-ঘেরা নিউক্লিয়াস বা অঙ্গাণু নেই)।
কোশ প্রাচীর পেপটিডোগ্লাইক্যান দ্বারা গঠিত (শর্করা এবং অ্যামিনো অ্যাসিডের পলিমার)।
আকার:
অণুবীক্ষণিক, সাধারণত ০.৫–৫.০ মাইক্রোমিটার আকারের।
প্রজনন:
অযৌন জননের বাইনারি ফিশন (দ্বিবিভাজন) এর মাধ্যমে হয়।
কিছু ব্যাকটেরিয়া কনজুগেশন, ট্রান্সফরমেশন বা ট্রান্সডাকশন এর মাধ্যমে জিনগত উপাদান বিনিময় করতে পারে।
পুষ্টি:
স্বভোজি: কিছু ইউব্যাকটেরিয়া সালোকসংশ্লেষী (যেমন, সায়ানোব্যাকটেরিয়া) বা রাসায়নিক সংশ্লেষী।
পরভোজি: বেশিরভাগ স্যাপ্রোফাইটিক (বিয়োজক) বা পরজীবী।
গমন :
কিছু ব্যাকটেরিয়ায় চলাচলের জন্য ফ্ল্যাজেলা থাকে।
অন্যরা সংযুক্তি বা গ্লাইডিং এর জন্য পিলাই (চুলের মতো গঠন) ব্যবহার করে।
বাসস্থান:
মাটি, জল, বায়ু এবং জীবিত প্রাণীর ভিতরে (সহজীবী বা রোগজীবাণু) পাওয়া যায়।
ইউব্যাকটেরিয়ার গঠন :
১. ক্যাপসুল (Capsule) :
- কিছু ইউব্যাকটেরিয়ার কোশ একটি ক্যাপসুল দ্বারা ঘেরা থাকে, যা পলিপেপটাইড বা পলিস্যাকারাইড দ্বারা গঠিত।
- ক্যাপসুল কিছু ব্যাকটেরিয়াকে রোগ সৃষ্টি করতে সাহায্য করে। এটি ব্যাকটেরিয়াকে ফ্যাগোসাইটোসিস (phagocytosis) থেকে রক্ষা করে (উদাহরণ: নিউমোকক্কাস)।
- ক্যাপসুল বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশনের স্থান হিসেবে কাজ করে এবং খাদ্য সংরক্ষণের জায়গা হিসেবেও কাজ করে।
২. কোশ প্রাচীর (Cell Wall) :
- কোশ প্রাচীর পেপটিডোগ্লাইক্যান দ্বারা গঠিত এবং এটি ক্যাপসুলের নিচে অবস্থিত।
- ইউব্যাকটেরিয়ার কোশ প্রাচীর কঠিন এবং এটি কোশএর বৈশিষ্ট্য, গঠন বা আকৃতি প্রদান করে।
- কোশ প্রাচীরের প্রধান কাজ হলো কোশকে উচ্চ অভিস্রবণ চাপের পার্থক্য থেকে রক্ষা করা।
৩. ফ্ল্যাজেলা (Flagella) :
- ফ্ল্যাজেলা হলো লম্বা উপাঙ্গ, যা ফ্ল্যাজেলিন অণু দ্বারা গঠিত।
- ফ্ল্যাজেলা ব্যাকটেরিয়ার চলাচলের জন্য দায়ী। এগুলি অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গের মতো ক্রিয়ার মাধ্যমে চলাচল করে।
- প্রতিটি ব্যাকটেরিয়ায় ফ্ল্যাজেলা বিভিন্ন অবস্থানে এবং বিভিন্ন সংখ্যায় থাকতে পারে (কিছু ব্যাকটেরিয়ায় একটি, কিছুতে কয়েকটি এবং কিছুতে অনেকগুলি ফ্ল্যাজেলা থাকতে পারে)।
৪. পিলাই বা ফিম্ব্রাই (Pili or Fimbriae) :
- পিলাই কোশপর্দা থেকে উৎপন্ন হয় এবং এটি একটি ছোট, চুলের মতো উপাঙ্গ যা কোশ প্রাচীরের বাইরে প্রসারিত হয়।
- এগুলি পিলিন বা ফাইব্রিলিন প্রোটিন দ্বারা গঠিত।
- ফিম্ব্রাই হোস্টের সাথে সংযুক্ত হতে সাহায্য করে এবং কনজুগেশনের সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৫. প্লাজমা মেমব্রেন (Plasma Membrane) :
- এটি একটি অর্ধ-ভেদযোগ্য লিপিড বাইলেয়ার ঝিল্লি। লিপিড এবং প্রোটিন প্লাজমা মেমব্রেনের প্রধান উপাদান।
- প্লাজমা মেমব্রেন থেকে নির্দিষ্ট আয়ন, অণু, পুষ্টি এবং জল পর্দার মাধ্যমে পরিবাহিত হয়।
৬. রাইবোজোম (Ribosome) :
- সাইটোপ্লাজমে 70S রাইবোজোম থাকে। এগুলি ট্রান্সলেশনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৭. নিউক্লিওয়েড (Nucleoid) :
- এটি ব্যাকটেরিয়ার DNA, যা সাধারণত ক্রোমোজোম নামে পরিচিত। এটি একটি একক বৃত্তাকার ক্রোমোজোম নিয়ে গঠিত।
৮. মেসোজোম (Mesosome) :
- এটি নলিকা এবং ভেসেল আকারে পাওয়া যায়। মেসোজোমের কাজগুলি হলো পরিবহনের জন্য পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল বৃদ্ধি করা, একটি একক পেপটাইডের জন্য সংযুক্তির স্থান বহন করা, অটোলাইটিক এনজাইম কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণে জড়িত থাকা এবং কোশ বিভাজনের সময় সেপ্টাম গঠনে সাহায্য করা।
ইউব্যাকটেরিয়ার শ্রেণিবিন্যাস
ইউব্যাকটেরিয়াকে আকৃতি, গ্রাম স্টেইনিং এবং বিপাকীয় বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়।
১. আকৃতির ভিত্তিতে:
কক্কাস: গোলাকার (যেমন, স্ট্রেপ্টোকক্কাস)।
ব্যাসিলি: দণ্ডাকার (যেমন, ইশেরিকিয়া কোলাই)।
স্পাইরিলা: সর্পিলাকার (যেমন, স্পাইরিলাম)।
ভিব্রিও: কমা-আকৃতির (যেমন, ভিব্রিও কলেরা)।
২. গ্রাম স্টেইনিং এর ভিত্তিতে:
গ্রাম-পজিটিভ: পুরু পেপটিডোগ্লাইক্যান স্তর, ক্রিস্টাল ভায়োলেট রঞ্জক ধরে রাখে (যেমন, স্ট্যাফাইলোকক্কাস)।
গ্রাম-নেগেটিভ: পাতলা পেপটিডোগ্লাইক্যান স্তর, রঞ্জক ধরে রাখে না (যেমন, E.Coli)।
৩. পুষ্টির ভিত্তিতে:
স্বপোষী:
সালোকসংশ্লেষী (যেমন, সায়ানোব্যাকটেরিয়া যেমন অ্যানাবিনা)।
রাসায়নিক সংশ্লেষী (যেমন, নাইট্রোসোমোনাস)।
পরপোষী:
স্যাপ্রোফাইটিক (বিয়োজক, যেমন Bacillus subtilis)।
পরজীবী (যেমন, মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকুলোসিস)।
৪. শ্বসনের ভিত্তিতে:
অ্যারোবিক: অক্সিজেন প্রয়োজন (যেমন, সিউডোমোনাস)।
অ্যানেরোবিক: অক্সিজেনের প্রয়োজন নেই (যেমন, ক্লস্ট্রিডিয়াম)।
সায়ানোব্যাকটেরিয়া (Cyanobacteria) :
এটি ইউব্যাকটেরিয়ার একটি উপ-গ্রুপ। এদের কোশ প্রোক্যারিওটিক।
কোশ প্রাচীরে মিউরিনের পাশাপাশি কিছু সেলুলোজ, হেমিসেলুলোজ এবং পেকটিন থাকে।
ফ্ল্যাজেলা অনুপস্থিত। এরা অক্সিজেনযুক্ত সালোকসংশ্লেষণ (oxygenic photosynthesis) সম্পন্ন করে।
কিছু সায়ানোব্যাকটেরিয়ায় হেটেরোসিস্ট (একটি বিশেষ ধরনের কোশ যা নাইট্রোজেন স্থিতিকরণে সাহায্য করে) থাকে।
যৌন অঙ্গ এবং চলনক্ষম প্রজনন কাঠামো অনুপস্থিত।
আর্কিব্যাকটেরিয়া (Archaebacteria):
এগুলি এককোশী প্রোক্যারিওটিক জীব, যেগুলি দেখতে ব্যাকটেরিয়ার মতো হওয়ায় তিন ডোমেইন সিস্টেমের আগে এগুলিকে ভুলভাবে ব্যাকটেরিয়ার অধীনে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছিল। তিনটি ডোমেইনের মধ্যে এরা সবচেয়ে প্রাচীন এবং আদিম জীব। এরা পরিবেশের চরম অবস্থাতেও বেঁচে থাকতে পারে। উদাহরণস্বরূপ:
অ্যাসিডোফাইলস (Acidophiles) : এরা pH ১-এর নিচে বসবাস করে। উদাহরণ: Picrophilus oshimae (pH ০.৭-এ বাস করতে পারে), Ferroplasma acidarmanus (অম্লীয় খনিতে পাওয়া যায়)
অ্যালকালিফাইলস (Alkaliphiles): এরা খুব লবণাক্ত পরিবেশে বাস করে। উদাহরণ: Natronomonas pharaonis (ক্ষারীয় হ্রদে পাওয়া যায়), Bacillus halodurans (ক্ষারীয় মাটিতে পাওয়া যায়)
থার্মোফাইলস (Thermophiles) : এরা উচ্চ তাপমাত্রায় (১১৩°C) বেঁচে থাকতে পারে।উদাহরণ: Thermoplasma acidophilum (অম্লীয় এবং উচ্চ তাপমাত্রার পরিবেশে পাওয়া যায়), Pyrococcus furiosus (সমুদ্রের হাইড্রোথার্মাল ভেন্টে পাওয়া যায়), Sulfolobus acidocaldarius (গরম অম্লীয় ঝরনায় পাওয়া যায়)
সাইক্রোফাইলস (Psychrophiles) : এরা ঠান্ডা তাপমাত্রায় (৪°C) বাস করে। উদাহরণ: Methanogenium frigidum (অ্যান্টার্কটিকার হ্রদে পাওয়া যায়), Psychromonas ingrahamii (বরফে পাওয়া যায়)
মিথানোজেনস (Methanogens) : এরা মিথেন গ্যাস উৎপন্ন করে। উদাহরণ: Methanobrevibacter smithii (মানুষের অন্ত্রে পাওয়া যায়), Methanococcus jannaschii (সমুদ্রের তলদেশে পাওয়া যায়), Methanosarcina barkeri (জলাবদ্ধ মাটিতে পাওয়া যায়)
থার্মোঅ্যাসিডোফাইলস (Thermoacidophiles) : এরা অম্লীয় এবং উচ্চ তাপমাত্রার পরিবেশ সহ্য করতে পারে। উদাহরণ: Thermoproteus tenax (গরম অম্লীয় ঝরনায় পাওয়া যায়), Sulfolobus solfataricus (জ্বালামুখী অঞ্চলে পাওয়া যায়)
তবে সব আর্কিব্যাকটেরিয়া চরম পরিবেশে বাস করে না। কিছু আর্কিব্যাকটেরিয়া সাধারণ পরিবেশ যেমন মাটি, সমুদ্র এবং মানুষের অন্ত্রেও পাওয়া যায়, যেখানে এরা ব্যাকটেরিয়ার সাথে সহাবস্থান করে। উদাহরণস্বরূপ, মানুষের অন্ত্রে মিথেন উৎপাদনকারী আর্কিব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়।
এদের অনান্য বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে রয়েছে এদের পর্দার গঠন, যা ইথার বন্ধনের মাধ্যমে গ্লিসারলের সাথে শাখাযুক্ত হাইড্রোকার্বন চেইন দ্বারা গঠিত। এটি চরম পরিবেশেও এদের স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। এরা ব্যাকটেরিয়া এবং ইউক্যারিওট উভয়ের সাথে কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য ভাগ করে।
ব্যাকটেরিয়ার সাথে সাদৃশ্য:
আর্কিব্যাকটেরিয়া এবং ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে বেশ কিছু মিল রয়েছে:
এককোশী প্রোক্যারিওটিক প্রকৃতি: উভয়ই এককোশী এবং প্রোক্যারিওটিক, অর্থাৎ এদের কোশে কোনও পর্দা-ঘেরা নিউক্লিয়াস বা অন্যান্য অভ্যন্তরীণ কাঠামো নেই।
একক বৃত্তাকার ক্রোমোজোম: উভয়েরই জিনগত তথ্য একটি বৃত্তাকার, ডাবল-স্ট্র্যান্ডেড DNA (dsDNA) তে সংরক্ষিত থাকে।
অযৌন প্রজনন: উভয়েই দ্বিবিভাজন (fission) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অযৌন প্রজনন করে।
ফ্ল্যাজেলা: উভয়েই চলাচলের জন্য ফ্ল্যাজেলা ব্যবহার করে।
ইউক্যারিওটের সাথে সাদৃশ্য:
আর্কিব্যাকটেরিয়া ইউক্যারিওটের সাথেও কিছু মিল দেখায়, বিশেষ করে জিনগত তথ্য প্রক্রিয়াকরণের সাথে জড়িত এনজাইমেটিক মেশিনারির ক্ষেত্রে। যেমন:
DNA প্যাকেজিং এবং প্রতিলিপিকরণ (replication)
RNA ট্রান্সক্রিপশন
প্রোটিন ট্রান্সলেশন
এছাড়াও, আর্কিব্যাকটেরিয়ার কোশ প্রাচীরে পেপটিডোগ্লাইকান স্তর নেই, যা ব্যাকটেরিয়ার কোশ প্রাচীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই কারণে, ব্যাকটেরিয়াকে প্রভাবিত করে এমন অ্যান্টিবায়োটিক আর্কিব্যাকটেরিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে না। তবে, কিছু অ্যান্টিবায়োটিক যা ইউক্যারিওটকে প্রভাবিত করে, তা আর্কিব্যাকটেরিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে।
আর্কিব্যাকটেরিয়ার প্রধান ফাইলাগুলি:
আর্কিব্যাকটেরিয়াকে প্রধানত তিনটি ফাইলায় বিভক্ত করা হয়:
ক্রেনার্কিওটা (Crenarchaeota): এই ফাইলায় প্রধানত হাইপারথার্মোফাইলস (উচ্চ তাপমাত্রায় বাস করা) এবং থার্মোঅ্যাসিডোফাইলস (উচ্চ তাপমাত্রা এবং অম্লীয় পরিবেশে বাস করা) অন্তর্ভুক্ত।
ইউরিয়ার্কিওটা (Euryarchaeota): এই ফাইলায় মিথানোজেনস (মিথেন উৎপাদনকারী) অন্তর্ভুক্ত।
কোরার্কিওটা (Korarchaeota): এই ফাইলার সম্পর্কে খুব কম জানা গেছে। এগুলি প্রকৃতিতে খুব বিরল এবং এগুলিকে আর্কিব্যাকটেরিয়ার সবচেয়ে প্রাচীন বংশধর বলে মনে করা হয়।
NCERT