🙏🙏 Welcome to BIOSGD 🙏🔬🧪🫁🫀🧬🩸🧠🇮🇳 (1) CLASS XII          (2) CLASS XI IMPORTANT QUESTIONS        (3) HS EXAM QUESTIONS     (4) NCERT Biology book 📚

জীবের জনন [Reproduction in Organisms] IMPORTANT QUESTIONS



1. আযৌনজনন এর বৈশিষ্ট্য গুলি লেখ?   

উ:  অযৌন জননের বৈশিষ্ট্য (Characteristics of asexual reproduction) :-

(i) একটি মাত্র জনিতৃ জীবই অযৌন জননের মাধ্যমে বংশবিস্তার করতে পারে।

(ii) জীবদেহের কোনো অংশ প্রত্যক্ষভাবে বা রেণু উৎপাদনের মাধ্যমে অযৌন জনন সম্পন্ন করে। 

(iii) অযৌন জনন প্রক্রিয়া মাইটোসিসের মাধ্যমে সম্পন্ন হয় অর্থাৎ মিয়োসিসের প্রয়োজন নেই।

(iv) এই প্রক্রিয়ায় গ্যামেট উৎপাদন বা নিষেক পদ্ধতি অনুপস্থিত।

(v) অযৌন জননের মাধ্যমে জীবন চক্র সম্পন্ন হয় অর্থাৎ হ্যাপ্লয়েড (n) ও ডিপ্লয়েড (2n) দশার পর্যায়ক্রমিক আবর্তন ঘটে না।

(vi) অপত্য জীবগুলি মাতৃজীবের সমবৈশিষ্ট্যসম্পন্ন হয় যাদের ক্লোন (Clone) বলে। 

(vii) মিয়োসিস বা ক্রসিংওভার অনুপস্থিত বলে নতুন বৈশিষ্ট্যের সৃষ্টি হয় না অর্থাৎ জীবের অভিব্যক্তি ঘটে না।

(viii) যৌন জননের তুলনায় এটি সহজ ও সরল পদ্ধতি।

(ix) অল্প সময়ে দ্রুত হারে বংশবৃদ্ধি ঘটে।

(x) অনুকূল পরিবেশে অযৌন জনন সম্পন্ন হয়। 

2. অযৌনজনন কে ব্লাস্টোজনিক বা সোমাটোজেনিক জনন বলে কেন ?

উ: অযৌন জনন প্রক্রিয়ায় দেহকোশ অ্যামাইটোসিস বা মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয়ে অপত্য কোশ সৃষ্টি হয়, তাই এই প্রক্রিয়াকে Blastogenic Reproduction বা Somatogenic Reproduction বলে।

3. কোরকোদগম দেখা যায় এমন একটি প্রাণী ও উদ্ভিদ এর নাম লেখ ?

উ: উদ্ভিদ - ইস্ট ; প্রাণী - Sycon ( স্পঞ্জ) 

4. মরফোল্যাক্সিস (Morpholaxis) এবং এপিমরফোসিস ( Epimorphosis) কী ? 

উ: জীবদেহের কোনো কাটা অংশ থেকে পূর্ণাঙ্গ জীবের পুনর্গঠনকে পুনরুৎপাদন বলে । যখন কোনো খণ্ডিত অংশ থেকে সম্পূর্ণ জীব সৃষ্টি হয় তখন তাকে মরফোল্যাক্সিস (Morpholaxis) এবং হারানো অংশের পুনঃস্থাপনকে এপিমরফোসিস ( Epimorphosis) বলে।

উদাহরণ- অ্যামিবা ,স্পঞ্জ ,হাইড্রা 

5. জাইগোট ও জাইগোস্পোরের দুটি পার্থক্য লেখো ?

উ:   ১)  জাইগোট  - নিষেক প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে জাইগোট সৃষ্টি হয়।     জাইগোস্পোর - সংশ্লেষ বা কনজুগেশন  প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে জাইগোস্পোর সৃষ্টি হয় ।

২) জাইগোট - দুটি অসম আকৃতির ভিন্নধর্মী জনন কোশ অর্থাৎ পুংগ্যামেট ও স্ত্রী গ্যামেটের মিলনে জাইগোট উৎপন্ন হয় ৷    জাইগোস্পোর :- একই প্রজাতীভুক্ত  ভিন্নধর্মী (পুং ও স্ত্রী) জীবের মধ্যে নিউক্লিয় পদার্থের মিলন ঘটে জাইগোস্পোর উৎপন্ন হয়।

৩) জাইগোট তৈরী একটি জটিল প্রক্রিয়া  কিন্তু জাইগোস্পোর তৈরি একটি সকল প্রক্রিয়া। 

৪) উন্নত জীবের (মানুষ) জাইগোট গঠিত হয় কিন্তু নিম্ন শ্রেণীর ( ছত্রাক, শৈবাল, স্পাইরোগাইরা) জীবদেহে জাইগোস্পোর গঠিত হয়। 

6. অযৌন জননের তিনটি পদ্ধতির নাম ও সংশ্লিষ্ট একটি করে জীবের নাম লেখ । 

উ: অযৌন জননের তিনটি পদ্ধতি হলো -

 ১) বিভাজন (Fission) - ব্যাকটেরিয়া ও অ্যামিবা

২) কোরকোদগম বা বাডিং (Budding) - ইস্ট, হাইড্রা 

৩) খন্ডীভবন (Fragmentation) - স্পঞ্জ ,সাগর কুসুম, তারা মাছ ,স্পাইরোগাইরা, 

7. যৌন জননের সুবিধা ও অসুবিধা গুলি লেখ।

উ: *যৌন জননের সুবিধা:

১) যৌন জননের দুটি ভিন্ন জীব দেহ থেকে উৎপন্ন গ্যামেট দ্বয়ের মিলনের ফলে জিনগত পুনঃসংযুক্তি ঘটে ফলে প্রজাতির মধ্যে ভেদ বা ভ্যারিয়েশন দেখা যায়।

২) যৌন জননের ফলে উৎপন্ন জীব অভিযোজনের সক্ষম হয়।

**যৌন জননের অসুবিধা :- 

১) যৌন জননের জন্য দুটি বিপরীত লিঙ্গের প্রয়োজন হয়, প্রকৃতিতে সব সময় পাওয়া যায় না।

২) গ্যামেট এবং স্ত্রী কমিটির মিলনের জন্য যথেষ্ট সুযোগ থাকা দরকার।

৩) নিষেক ঘটাও সহজ হয় না ।

৪) যৌন জননের জন্য পর্যাপ্ত সময় এর প্রয়োজন হয় ।

8. সংযুক্তি বা কনজুগেশন কাকে বলে? এই পদ্ধতিতে জনন সম্পন্ন কারী একটি উদ্ভিদ ও একটি প্রাণীর উদাহরণ দাও । 

উ: সংযুক্তি বা কনজুগেশন (Conjugation) :- 

যে যৌন জনন প্রক্রিয়ায় ভিন্নধর্মী (পুং ও স্ত্রী) একই প্রজাতিভুক্ত দুটি জীবের মধ্যে অস্থায়ী মিলনের দ্বারা নিউক্লিয় পদার্থের মিলন ঘটে অপত্য জীব সৃষ্টি হয়, তাকে সংশ্লেষ বা সংযুক্তি বা কনজুগেশন বলে। 

সাধারণত নিম্ন শ্রেণীর উদ্ভিদ ও প্রাণীদের মধ্যে কনজুগেশন পদ্ধতি দেখা যায় । যেমন--- স্পাইরোগাইরা ( উদ্ভিদ) , প্যারামেসিয়াম (প্রাণী) 

9. আইসোগ্যামি, অ্যানাইসোগ্যামি ও ঊগ্যামি জনন পদ্ধতির উদাহরণ সহ সংজ্ঞা দাও।

উঃ- * আইসোগ্যামি (Isogamy; iso = equal , gamous = marriage ) :-   শারীরবৃত্তীয় ভাবে ভিন্ন এবং অঙ্গসংস্থান গত ভাবে একই রকমের গ্যামেটের মিলনকে আইসোগ্যামি বলে ৷ উদাহরণ -ক্ল্যামাইডোমোনাস নামক শৈবাল , মনোসাইটিস নামক আদ্যপ্রানী 

** অ্যানাইসোগ্যামি (Anisogamy or Heterogamy ; an = without, iso = equal , gamous = marriage ) :- - আকারগত চলনশীলতায় ভিন্ন প্রকৃতির গ্যামেটের মিলনকে অ্যানাইসোগ্যামি বলে ৷ উদাহরণ - ক্ল্যামাইডোমোনাস ও সকল প্রকার মেরুদন্ডী প্রাণীদের ক্ষেত্রে দেখা যায় ৷

*** ঊগ্যামি (Oogamy) :- বড়, নিশ্চল প্রকৃতির স্ত্রী গ্যামেটের সঙ্গে ক্ষুদ্র, সচল প্রকৃতির পুংগ্যামেটের মিলনকে বলা হয় ঊগ্যামি । 


10. আইসোগ্যামি ও অ্যানাইসোগ্যামি এর মধ্যে পার্থক্য লেখ


11. আইসোগ্যামি ও  ঊগ্যামি এর পার্থক্যগুলি লেখ। 


12. পিডোজেনেসিস কাকে বলে ? কোথায় দেখা যায় ?

উঃ- যে পদ্ধতিতে কোন জীব লার্ভা অবস্থায় প্রজনন ক্ষমতা লাভ করে তাকে পিডোজেনেসিস বলে ৷ উদাহরণ - অ্যাক্সোলোটল লার্ভা ( অ্যাম্বাইস্টোমা নামক উভচরে দেখা যায়) 

13. অঙ্গজ জননের সুবিধা গুলি লেখ ৷ 

উঃ- অঙ্গজ জননের সুবিধা হল -

১) অঙ্গজ জনন পদ্ধতিতে তৈরি অপত্য উদ্ভিদের গুণমান জনিতৃ দের মত একই রকম হয় ৷

২) যেসব উদ্ভিদের বীজ সৃষ্টি হয় না  সেইসব উদ্ভিদের অঙ্গজ জনন পদ্ধতিতে বংশবিস্তার করানো হয়।

৩) অঙ্গজ জনন পদ্ধতি তৈরি উদ্ভিদের বেঁচে থাকার প্রায় 100% সম্ভাবনা থাকে ৷

14. অ্যাপোমিক্সিস (Apomixis) কি? উদাহরণ দাও ৷

উঃ- অ্যাপোমিক্সিস (Apomixis ; apo = without , mixus = mixing ) : - মিয়োসিস ও নিষেক ছাড়াই যে অযৌন জনন সম্পন্ন হয় তাকে অ্যাপোমিক্সিস বলে ৷ উদ্ভিদের অঙ্গজ জনন এক ধরনের অ্যাপোমিক্সিস

I5. সংযুক্তি ও নিষেক এর মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখ ।

উঃ- 


16. কনিডিয়া কি ? 

উঃ- Penicilium জাতীয় ছত্রাকে বায়বীয় দন্ডাকার কনিডিও ফোর থেকে বহির্জনিষ্নু ভাবে অসংখ্য যে অচলরেনু উৎপন্ন  হয় তাকে কনিডিয়া বলে ৷ কনিডিয়া অঙ্কুরিত হয়ে অপত্য ছত্রাক উৎপন্ন করে ৷

17. প্লাসমোটোমি কি ? 

উঃ- যে প্রক্রিয়ায় বহু নিউক্লিয়াস যুক্ত জনিতৃ প্রাণী বিভাজিত হয়ে বহু নিউক্লিয়াস যুক্ত অপত্য প্রাণী সৃষ্টি করে তাকে প্লাসমোটোমি বলে ৷ উদাহরনঃ-  ওপালিনা , পেলোমিক্সা নামক আদ্যপ্রাণীর ক্ষেত্রে দেখা যায় ৷

18. সিনগ্যামি কাকে বলে? 

উঃ- যে যৌন জননে দুটি ভিন্ন ধর্মী জনন কোশ অর্থাৎ পুং ও স্ত্রী গ্যামেটের স্থায়ী মিলন ঘটে নতুন অপত্য জীব সৃষ্টি হয় তাকে সিনগ্যামি বলে ৷ 

°•°| 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন