A. গুপ্তবীজী উদ্ভিদের পুংলিঙ্গধর উৎপত্তি [Formation of Male Gametophyte Or Microgametogenesis ]
܀ ܀পরাগরেণু পুংলিঙ্গধর এর প্রথম কোশ
܀ ܀পরাগরেণুর অঙ্কুরোদগম পরাগস্থলীর মধ্যেই শুরু হয় ৷ তাই এটি in situ Development
1. Pre polination development :-
i) শুধুমাত্র পরাগরেনুর নিউক্লিয়াস অসম মাইটোটিক বিভাজন দ্বারা বিভক্ত হয়, ফলে দুটি অসম আকারের কোশ গঠিত হয়।
(a) জনন কোশ (Generative cell ) - ক্ষুদ্রাকার কোশ
(b) নালিকা কোশ (Tube cell or vegetative cell ) - বৃহদাকার কোশ
ii) জনন কোশটি এক প্রান্তে প্রাচীর সংলগ্ন অবস্থায় থাকে ৷ পরে জনন কোশটি প্রাচীর থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মাকু আকৃতি ধারন করে ৷
iii) উৎপন্ন মাকু আকৃতির জনন কোশ (Generative cell ) বিভাজিত হয় এবং দুটি পুংগ্যামেট গঠন করে।
iv) পরাগরেনুর পরাগযোগের 60% এনজিওস্পার্মে দ্বিকোশী এবং দ্বিনিউক্লিওটেড (একটি জননকোশ + একটি নালিকা কোশ = ২টি কোশ ) পর্যায়ে হয় ,
এবং 40% তিন কোশীয় (১টি নালিকা কোশ + ২টি পুং গ্যামেট = 3 কোশ ) পর্যায়ে ঘটে।
2. Post Polination Development : -
(i) পরাগ ,ফুলের গর্ভমুন্ডের উপর পতিত হলে পরাগ ও গর্ভকেশর মধ্যস্থ রাসায়নিক পদার্থের আন্তঃক্রিয়া ঘটে৷ পরাগ গর্ভমুন্ড থেকে বায়বীয় আর্দ্রতা এবং সুগারের (শর্করার ) উপাদান শোষণ করে।
(ii) ফলে পরাগরেনু স্ফীত হয় এবং পরাগরেণুর অন্ত-স্ত্বকটি রেনু রন্ধ্রের মধ্যদিয় নলের আকারে নির্গত হয় একই পরাগনালি বলে ৷ এই পরাগনালী গর্ভদন্ডের মধ্য দিয়ে বিস্তৃত হতে থাকে৷
iii)সর্বপ্রথম নালিকা কোশটি (tube cell or vegetative cell) পরাগনালিটিতে প্রবেশ করে এবং ধীরে ধীরে বিনষ্ট হয়ে যায় ৷
**: সর্বপ্রথম পরাগনালী আবিষ্কার করেন G.B. Amici (পোর্টুলকা উদ্ভিদে )।
***:: দীর্ঘতম পরাগনালী ভুট্টা ( Zea Mays) এ পাওয়া যায়।